19,2022 Sunday at 21:30:10 | Share |
সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু

সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কার্যক্রম আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, খুলনা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
বিকেল সাড়ে ৩টায় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে ভোটার তালিকার উদ্বোধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর সকাল সাড়ে ১০টায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকাল ১০টায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রথম দফায় ১৪০ উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে ৯ জুলাই পর্যন্ত। এরপর তিন ধাপে অন্য উপজেলাগুলোয় এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
ইসি জানায়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে হালনাগাদে। এ ছাড়া আগে বিভিন্ন কারণে যারা ভোটার হতে পারেননি, তাদেরও এই হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটারের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে।
ইসি আরও জানায়, আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে নাগরিকদের তথ্যে ভুলভ্রান্তি এড়াতে এবার প্রথমবারের মতো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন কেন্দ্রে নাগরিকের তথ্য কম্পোজ ও প্রুফের পর তার একটি প্রিন্ট দেওয়া হবে। নাগরিক সেই তথ্য যাচাই ও সই দিয়ে ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটরের কাছে জমা দেবেন। নাগরিকের অন্যান্য দলিলাদির সঙ্গে এই ডকুমেন্টও ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে।
ইসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবার একসঙ্গে পর পর তিন বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন- তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তিন বছরে বর্তমান ভোটার সংখ্যার সাড়ে ৭ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার পূর্বে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৩। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার পূর্বে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৪ এবং যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৫।
ভোটার হতে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে), বাবা-মায়ের এনআইডির ফটোকপি ও ইউটিলিটি বিলের কপি দিতে হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষ আরও কিছু দলিলাদিও লাগতে পারে।
User Comments



- জাতীয়